###’বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়নি নেতাজির’###
আজকে সেই অভিশপ্ত ১৮ই আগস্ট।
সমস্ত ভারতবাসীকে একটাই মিথ্যে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিমান দুর্ঘটনায় বীর সুভাষের মৃত্যু। জ্যোতিষ নিরীখে বিচার করতে হলে ১৮ই আগস্টের দিনটি নেতাজির মৃত্যুর কোনো সূত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ১১পতির দশা এবং ৩য় পতির অন্তর্দশায় মানুষের মৃত্যু হয়না কিন্তু ওই দিনের গোচর বিচার করলে একটা জিনিস স্পষ্ট খুঁজে পাওয়া যায়, বন্ধন যোগ ওনার কুষ্টিতে স্পষ্টই হয়ে উঠেছিলো।
############বন্ধন যোগ#########
১,লগ্নপতি যদি ১২পতির সাথে যোগ সূত্র স্থাপন করে অথবা লগ্নে ১২ পতির প্রভাব বিস্তার করে।
২, লগ্ন বা লগ্ন পতি শনি, রাহু,কেতুর সাথে যুক্ত হয় কোনো ভাবে তাহলে হয়।
৩, দশা, অন্তর্দশা যদি ৮/১২ ভাবের অতিবাহিত হয় তাহলে এই যোগ সৃষ্টি হয়।
এইবার দেখা যাক ১৮/৮/১৯৪৫ সালের গোচরে কি অবস্থা ছিলো।
১, নেতাজির জন্ম হয়েছিল বৃষ লগ্ন কন্যা রাশি।
২, জন্ম কালীন লগ্নে মঙ্গলের অবস্থান, এই মঙ্গল ৭/১২ পতি।
৩, ১৮/০৮/১৯৪৫ সালে এই ১২পতি মঙ্গল ঠিক জন্ম কালীন অবস্থানের মতন সেদিনও লগ্নে অবস্থান করেছিলো।
৩, লগ্ন পতি শুক্র জন্ম কালীন ১০ম ভাবে অবস্থান করেছিলো, কিন্তু সেদিন ২ ভাবে শনি আর রাহুর সাথে অবস্থান করেছিলো।
৪, বৃহস্পতির দশায় এই ঘটনার সৃষ্টি হয়, এই বৃহস্পতি ৮ম পতি।
নেতাজি সুভাষের অনেকবার কারাবাস হয়েছিলো কিন্তু কোনো কারাগার সৃষ্টি হয়নি নেতাজি সুভাষকে বন্ধন করে রাখবে।
প্যারিসের এক ইতিহাসবিদ জেবিপি মোরে জানিয়েছেন, সেই গোপন নথিতে রয়েছে বিমান দুর্ঘটনায় মুত্যুর খবর সম্পূর্ণ ভুয়ো। তিনি ১৯৪৭য়েও জীবিত ছিলেন। ইন্দোনেশিয়া থেকে পালিয়ে ফ্রান্সে আশ্রয় নিয়েছিলেন নেতাজি। তবে শেষ কয়েকটি বছর কোথায় কাটিয়েছেন তার কোনও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। সেই রিপোর্টেও উল্লেখ করা নেই। ফ্রান্সের ন্যাশনাল আর্কাইভে রাখা এই রিপোর্টি রাখা রয়েছে। তাতে তারিখ বসানো রয়েছে ১০৪৭, ১১ ডিসেম্বর।
নেতাজির মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে এযাবত তিনটি কমিশন গঠন করেছে ভারত সরকার। শাহনওয়াজ কমিটি (১৯৫৬), খোসলা কমিশন (১৯৭০) এবং মুখার্জি কমিশন (১৯৯৯)। এর মধ্যে শাহনওয়াজ কমিটি ও খোশলা কমিশন বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছে, এই তথ্যে সিলমোহর দিয়েছিল। ১৯৪৫-এর ১৮ অগাস্ট তাইহোকুতে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয় বলে জানানো হয়। যদিও মুখার্জি কমিশন প্রথম থেকেই সেই কারণ খারিজ করে দিয়েছে। এই কমিশনের সদস্যদের প্রথম থেকেই দাবি ছিল বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি নেতাজি। ১৯৪৭-ও তিনি বেঁচে ছিলেন। ভারত সরকার যদিও মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টকে খারিজ করে দেয়।
ফরাসিরা বরাবরই বলে এসেছে ১৯৪৭-ও বেঁচে ছিলেন নেতাজি। ইন্দোনেশিয়া থেকে তিনি অন্তর্ধান হয়েছিলেন। কিন্তু তারপর কোথায় ছিলেন সেতথ্য ফরাসি বিজ্ঞানীদের কাছেও নেই। ফ্রেঞ্চ সিক্রেট সার্ভিস রিপোর্টে বলা হয়েছে, নেতাজির মৃত্যু কোনওভাবেই বিমান দুর্ঘটনায় হয়নি। ইন্দোনেশিয়া থেকে অন্তর্ধানের পর কোথায় তিনি ছিলেন তার তথ্য এখনও জানা যায়নি ঠিকই তবে ১৯৪৭ সালেও তিনি জীবিত ছিলেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস।
সম্রাট বোস
7890023700