রাহুর দশা।
বৈদিক জ্যোতিষ মতে, রাহু ও কেতু এমনই প্রভাবসম্পন্ন গ্রহ যে, এরা কারোর পিছনে লাগলে তার জীবন ছারখার হতে বাধ্য।
আবার কারো জীবনে সুফল দিলে তাকে ধরে রাখা মুশকিল, সাফল্যের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে দেয়।
আজ আপনাদের সামনে এমন দুজনের কুন্ডলী আনলাম যাদের জীবনে রাহুর প্রভাব জীবন বদলে দিয়েছে।
সৌরভ গাঙ্গুলী
৭মে রাহুর দশা ১২ বছর বয়সে এসেছিল,
৭ম ভাব থেকে আমরা বিপরীত মানুষ, বিবাহিত জীবন, প্রতিযোগিতা, প্রতিযোগী এইসব বুঝি।
আমাদের সকলের জানা আছে সৌরভ গাঙ্গুলী খুব অল্প বয়সে ক্রিকেট ইতিহাসে নিজের নাম স্বর্ণ অক্ষরে লিখেছেন। আমাদের বাংলার মুখ উজ্জল করেছেন এই রাহুর দশাতেই। দাদার বিবাহ হয় এই রাহুর দশাতেই, সন্তান হয় এই রাহুর দশাতেই।
ভাততের ক্যাপ্টেন এই দশাতেই হয়।
মালালা
লগ্নে রাহু
জীবনী শক্তির কারক।
পাকিস্তানের নারী শিক্ষা আন্দোলন কন্যা মালালা ইউসুফজাই। মাত্র এগার বৎসর বয়সে রাহুর দশায় যিনি বিশ্বের চোখে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তালেবানদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে আসেন বিশ্ব মাথাওয়ালাদের নজরে। তালেনবানের গুলির পরও সৌভাগ্যক্রমে এবং প্রবল জীবনী শক্তির দিয়ে বেঁচে যা্ওয়া মালালা এখন তালেবানকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে নারী শিক্ষাক্ষেত্রে এবং বিশ্বের কিছু অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ করার চেষ্টা করছেন। তবে তিনি নারী শিক্ষা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মাত্র পাঁচ বছর কাজ করার চেষ্টাতেই সতের বছর বয়সে পেয়ে গেলেন পশ্চিমাগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রিত পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার ‘নোবেল পুরস্কার’।
তাই রাহু যে সব সময় খারাপ প্রভাব মানুশের জীবনে সর্বনাশ ডেকে আনবে কথা একেবারেই ঠিক নয়, দেখতে হবে রাহুর অবস্থান, এবং রাহু কার কার সাথে যুক্ত এবং কার নক্ষত্র অবস্থান এবং কে কে দৃষ্টি দিয়েছে।
এগুলো কোনো সৎ জ্যোতিষী দিয়ে বিচার করে নেওয়া উচিত।
নাহলে অযথাই মানুষকে ভুল বুঝিয়ে নিজেদের পকেট মোটা করার ফাঁদ পেতে আছে অনেকেই।