বাস্তু


#############বাস্তু###########

প্রতিদিনই বিভিন্ন রকম প্রশ্ন আসে বাস্তু সংক্রান্ত বিষয়, মধ্যবিত্তের পরিবারে সবাই বাস্তু মেনে থাকতে পারেনা অথবা তাদের ঘরবাড়ি সব বিষয়ে আলাদা আলাদা বিভাগ থাকে না। শতকরা 70 শতাংশ মানুষ দুটো ঘর রান্নাঘর বাথরুম নিয়ে থাকেন। বাস্তু মেনে ফ্ল্যাট এবং বাড়ি বর্তমানে হয়তো হচ্ছে কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের বাড়ি ঘর বাস্তু মেনে হয় না অনেকের পুরনো বাড়ি আবার অনেকে 51বর্তী পরিবারে থাকে, যার কারণে দিক নির্ণয় করে সমস্ত কিছু রাখা সম্ভব নয় এর ফলে বাস্তু নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

বাস্তু নিয়ে সাধারন মানুষের জন্য কিছু টিপস বলতে পারেন যেগুলো করলে বাস্তুর দৃষ্টিভঙ্গি, মানসিক পরিস্থিতি এই সকলের দ্বারা পরিবর্তন হবে।

বাড়িতে ঢোকার মুখে কোনো খালি দেওয়াল থাকলে সেটিকে খালি না রেখে ছবি লাগান।।
তবে কোন সিনেমার নায়ক নায়িকার ছবি লাগাবেন না এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কোন ছবি বাড়িতে রাখবেন না।

বাড়ির উত্তর –পূর্ব দিকে একটু বসে থাকুন। মনঃসংযোগ করতে পারলে আরও ভালো। সারাদিনে পনেরো মিনিট যদি কোন কথা না বলে মোবাইল ব্যবহার না করে শান্ত মনে চুপ করে বসে থাকা যায় তাহলেই অনেক উপকার হয়। অনেকেই বলে থাকে আমি দেখেছি বিভিন্ন রকম মন্ত্র পাঠ করো এইসব ক্রিয়া বলেন এই মন্ত্র পাঠ এর বিপক্ষে আমি নই কিন্তু শুধু চুপ করে বসে থাকলেও আপনার নিজেকে জানতে বা বুঝতে সুবিধা হয় ইংরেজিতে বলে আঙ্গার ম্যানেজমেন্ট, শান্ত হয়ে বসে থাকলে মানুষ নিজেকে উপলব্ধি করতে পারে এবং বিভিন্ন চিন্তা ভাবনা তাকে সহযোগিতা করে।

উত্তর-পূর্ব দেয়ালে এমন ছবি লাগান যেখানে লম্বা পথ দেখা যাচ্ছে, সূর্যমুখী ফুলের ছবিও লাগাতে পারেন। বাড়ির উত্তর পূর্ব দিকে আমাদের ঈশান কোণ বলা হয়ে থাকে ঈশান কোণ দেবতাদের বাসস্থান এখান থেকে পজেটিভ ভাইব্রেশন আছে এই জায়গায় যদি পরিষ্কার থাকে এবং এইগুলো যদি সুন্দর ছবি থাকে যেখানে প্রাকৃতিক দৃশ্য থাকবে অথবা এখানে ঈশ্বরের বাসস্থান করা হয় তাহলে বাড়ির এই জায়গাটা শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
অনেকের বাড়ি ভীষণ ছোট এবং উত্তর-পূর্ব কোণে তারা মন্দির স্থাপন করতে পারেন না তাদের জন্য বলা হচ্ছে শুধু প্রাকৃতিক দৃশ্য ছবি লাগানো হয় তাহলেও এই স্থানটা কিছুটা হলেও পজেটিভ পরিণত হয়।

বর্তমানে পরিবারের শান্তি বিঘ্ন ঘটেছে। প্রচুর অর্থ আছে অথচ মনে শান্তি নেই। মাসে লক্ষ টাকা রোজগার কিন্তু অফিসে অশান্তি, সেই অশান্তির জের কিন্তু পরিবারের ওপর সমস্যা সৃষ্টি করছে।পারিবারিক সম্পর্কের উন্নতির জন্য একটি পারিবারিক ছবি লাগাতে পারেন। তবে অবশ্যই দক্ষিণ পশ্চিম দিকে। ছবিটি সোনালি ফ্রেমে বাঁধানো হলে ভালো হয়। এই দক্ষিণ-পূর্ব দিকে পারিবারিক যতরকম আনন্দের মুহূর্তের ছবি আছে সে গুলোকে এই দেয়ালে লাগানো এতে পারিবারিক শান্তি আসবে কিভাবে আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, আসলে সম্পূর্ণ মনোবিজ্ঞানের কথা ধরে নিন সারাদিনে একবার হলেও ওই আনন্দ মুহূর্তের ছবি গুলো আপনাদের বউ ছেলে মেয়ে সবার একবার করে স্মৃতিচারণ করতে বাধ্য করবে এ তো অনেক শান্তি ফিরে আসে।

শতকরা 80% বাবা-মায়েরা বলেন তাদের সন্তান পড়াশোনা করছে না পড়াশোনায় মন বসে না। পূর্ব দিকে পড়ার টেবিল রাখুন। লক্ষ্য করে দেখবেন আগের থেকে আধঘন্টা হলো বেশি পড়াশোনা করছে এই দিকে মুখ করে।

পূর্ব দিকের দেয়ালে সূর্যোদয়ের ছবি লাগাতে পারেন। সামাজিক সম্পর্ক ভালো হবে।

চেষ্টা করুন বাড়ির দরজা জানলার যোগফল যেন জোড় সংখ্যার হয়।

অর্থের জোগান সবসময় ভালো রাখতে লাল রঙের ঘোড়ার ছবি লাগান। ব্যাংকিং লোন অথবা ফিন্যান্স এ যারা যুক্ত আছেন, তারা বাড়ির উত্তর দিকে সাদা ঘোড়ার ছবি লাগিয়ে দেখতে পারেন।

রাতে শোয়ার সময় স্ত্রী স্বামীর বাঁদিকে শুলে দাম্পত্য শান্তি বজায় থাকে। বাঁ দিকে সবার কারণটা হলো বিজ্ঞান বলছে আপনার বাঁদিকে থাকা মানুষের কথা যখন আপনি শুনবেন তখন সেই কথাটা আপনার হৃদয় পর্যন্ত আনসারী আর ডান দিকের মানুষের কথাটা প্রথমে আপনার মস্তিষ্কে পৌঁছাবে। আসলে দুটো কথাই মস্তিষ্কে পৌঁছায় কিন্তু বাঁদিকের মানুষের কথাটা আমাদের পালন করতে বা তাদের মনোবাঞ্ছা ইচ্ছা পালন করতে আমাদের মন চায়, সেই কাজ তাড়াতাড়ি হয়। এই প্রক্রিয়াটা আপনারা বাড়িতে অ্যাপ্লাই করে দেখতে পারেন আপনাদের কাজে লাগবে।

খাটের নীচটি পরিষ্কার ও ফাঁকা রাখুন। ভবিষ্যতের পক্ষে শুভ।শুধু খাটের নিচে নয় এর সাথে ঘরের কোন এবং বাড়ির দেয়াল সমস্ত জায়গা পরিষ্কার থাকলে নিজেদেরকে অনেক পরিষ্কার বলে মনে হয়। প্রচুর সংখ্যক বাড়ি দেখা যায় তাদের ঘর রান্নাঘর বাথরুম তাদের বিশেষ কাজের জন্য সময়ের অভাবে এই সমস্ত জায়গায় গুলো ধুল ময়লা জমে থাকে এইগুলো সাংসারিক জীবনে সুখকর ঘটনা নয়, একবার পরিষ্কার করে দেখুন পরিবর্তন আপনারা চোখের সামনে বুঝতে পারবেন।

রান্নাঘরে গ্যাস ও জলের কল যতটা সম্ভব দূরে রাখুন।

উত্তর পূর্ব দিকে মাছের অ্যাকুরিয়াম রাখুন, জীবনে উন্নতি হবে।অনেক বাড়িতেই আমি ফেংসুই একুরিয়াম রাখতে দেখেছি, আটখানা লাল গোল্ড ফিস আর একখানা কাল গোল ফিস আপনারাও রাখতে পারেন তবে আমি বলব একটু অন্য ধরনের একুরিয়াম করতে সবার বাড়িতে একুরিয়াম রাখার জায়গা হয় না কিন্তু যাদের জায়গা হয় তারা পারলে ঝর্ণা সৃষ্টি করে একুরিয়াম বানাতে পারেন। এইরকম একুরিয়াম বানানো যায় আমি বহু জায়গায় এরকম একুরিয়াম বানানোর দেখেছি। ঝরনার জল যখন একুরিয়ামের পরে তখন একটা অদ্ভুত তরঙ্গের সৃষ্টি হয় শব্দের সৃষ্টি হয়। এই শব্দ টা বাড়িঘর এবং পরিবারের জন্য খুবই উপকারী।

ঘরের পূর্বদিকে সবুজ গাছ রাখুন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো হবে। তুলসী গাছ রাখতে পারেন এই তুলসী গাছে সকাল বিকেল দু বেলায় অক্সিজেন সরবরাহ করে। তাছাড়া এই গাছ অনেক নেগেটিভ ভাইব্রেশনকে কাটিয়ে দেয়।
যদি আপনার বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে নেগেটিভ ভাইব্রেশন থাকে তাহলে এই তুলসী গাছ প্রথম এদিকে অসুস্থ হয়ে পড়বে তখন বুঝতে পারবেন আপনার এই নেগেটিভ ভাইব্রেশন গুলো তুলসী গাছ নিজের শরীরে গ্রহণ করছে।

সম্রাট বোস
7890023700