আলবার্ট আইনস্টাইন
কি অদ্ভুত লাগছে আমার, ৩০মিনিট আগেই স্টিফেন হকিংসের আমাদের ছেড়ে চলে যাবার কথা আলোচনা করছিলাম, যিনি ছিলেন আইনস্টাইনের মতন একজন বিজ্ঞানী। ঠিক এমন দিনেই ইতিহাসের পাতা খুলে দেখে অবাক আমি, ১৪ মার্চ ঠিক আজকের দিনেই ১৩৯ বছর আগে এলবার্ট আইনস্টাইনের জন্ম হয়েছিল।
অনেকেই বলছেন ওনাদের জন্ম কুন্ডলী নিয়ে আলোচনা করতে, কিন্তু আজকে আমার সেই ইচ্ছেটা নেই, অন্যদিন নাহয় আলোচনা হবে আমাদের বিজ্ঞানী নিয়ে।
তবে একটা কথা বলে রাখি, দরিদ্র যোগ নিয়ে অনেকেই বলে থাকেন শনি+শুক্র+রবি একটি ঘরে অবস্থান মনে জাতক যেদিকে যায় সাগর শুকিয়ে যায়। আইনস্টাইন জন্মানোর পরে যেখানেই গেছেন জীবনের ছাপ রেখে গেছেন, আর ওনার কর্ম কান্ডে কখনোই দারিদ্রের প্রকাশ পায়না।
১৪ মার্চ, ১৮৭৯
জার্মানির উলমা শহরে জন্ম। বাবা, হারমান আইনস্টান। মা, পাওলিন।
১৮৯৪
আইস্টাইনের পরিবার ইতালি চলে যান
১৮৯৬
স্কুল শেষ করে জুরিখের পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা শুরু করেন। সে বছরই সেনায় বাধ্যতামূলক ভর্তি এড়াতে জার্মান নাগরিকত্ব ছেড়ে দেন। বয়স তখন ১৭।
১৯০০
কলেজ শেষ। কাজ খোঁজা শুরু করলেন আইনস্টাইন। পছন্দ ছিল শিক্ষকতা।
১৯০১
সুইজারল্যান্ডের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলেন।
১৯০২
সুইস পেটেন্ট অফিসে ক্লার্কের কাজ পেলেন আইনস্টাইন।
১৯০৩
সহপাঠিনী মিলেভা মারিকের সঙ্গে বিবাহ। দাম্পত্য সুখের হয়নি। মিলেভার দুই পুত্রসন্তান হয়।
১৯০৫
আইনস্টাইনের জীবনের বিস্ময়কর বছর। একই বছরে তিনটি পেপার প্রকাশ। প্রথম পেপারে বিশেষ আপেক্ষিকতাবাদের ভিত তৈরি। দ্বিতীয় পেপারে ব্রাউনিয়ান মোশন থেকে অনুর অস্তিত্ত্ব শনাক্ত করা। তৃতীয় পেপারে আলোর কণা কোয়ান্টামের প্রয়োগ, যার সূত্রে আইনস্টাইনের নোবেল প্রাইজ।
১৯১৪
জার্মানির বার্লিনে ফিরে আসা। কাইজার উইলহেম ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর পদে যোগ দেন।
১৯১৫
সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদের তত্ত্ব প্রকাশ।
১৯২১
১৯০৫-এর কাজের জন্য নোবেল পুরস্কার পেলেন।
১৯৩৩
জার্মানি থেকে সপরিবারে পালিয়ে এলেন আমেরিকায়। প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্স স্টাডিজ’-এ পড়াতে শুরু করলেন।
১৯৩৯
মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টকে চিঠি লিখলেন। সেই চিঠিতে পরমাণু বোমা তৈরিতে জার্মানির বিজ্ঞানীরা এগিয়ে রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন। এ চিঠি আমেরিকার পরমাণু কর্মসূচিকে ত্বরান্বিত করেছিল।
এপ্রিল ১৮, ১৯৫৫
হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু। বয়স তখন ৭৬।
সম্রাট বোস
7890023700