ভূমিকম্প
আজ ১১ আগস্ট
আজকের দিনে কেঁপে উঠছিল ইরানের ভূমি,
-২০১২ সালের ১১ আগস্ট ইরানের তাবরিজ শহরে ৬ দশমিক ৩ ও ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে ৩০৬ জন নিহত এবং তিন হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়।
বিজ্ঞানীরা বলেন :
আমাদের ভূ -পৃষ্ঠ অনেকগুলো প্লেট-এর সমন্বয়ে গঠিত। এই প্লেটগুলো একটি আরেকটির থেকে আলাদা থাকে ফল্ট বা ফাটল দ্বারা। এই প্লেটগুলোর নিচেই থাকে ভূ-অভ্যন্তরের সকল গলিত পদার্থ। কোনও প্রাকৃতিক কারণে এই গলিত পদার্থগুলোর স্থানচ্যুতি ঘটলে প্লেটগুলোরও কিছুটা স্থানচ্যুতি ঘটে। এ কারণে একটি প্লেটের কোনও অংশ অপর প্লেটের তলায় ঢুকে যায়, যার ফলে ভূমিতে কম্পন সৃষ্টি হয়। আর এই কম্পনই ভূমিকম্প রূপে আমাদের নিকট আবির্ভূত হয়।
এবার আমাদের জ্যোতিষীর মতবাদ কি বলছে দেখে নেয়া যাক।
১, গার্গ ঋষি বলেছেন পূর্ণ চন্দ্র এবং চন্দ্র গ্রহণ এর সময় ভূমিকম্প হয়ে থাকে।
২, বরাহ মিহির বলেছেন মঙ্গল, শনি, বৃহস্পতি অথবা রাহু/ কেতু একসাথে বা খুব কাছে এসে গেলে ভূমিকম্প হবার প্রবণতা বেড়ে যায়।
৩, অনেকগুলো গ্রহ যদি একটা ঘরে এসে যায় তাহলে ভূমিকম্প হবার প্রবণতা থাকে।
৪, বেশিরভাগ গ্রহ যদি পৃথি রাশিতে বা নাবামশাতে থাকে তাহলে ভূমিকম্প হবার প্রবণতা থাকে।
এখন কুন্ডলী তা ভালো করে দেখে নেওয়া যাক কি বলছে,
১, ডি১ কুন্ডলী যে শনি, মঙ্গল, রাহু খুব কাছাকাছি ডিগ্রী যে এসে গেছে যা ভূমিকম্প হবার জোরদার কারণ।
২, নাবামশা কুন্ডলী তে পৃথ্বী রাশিতে ৫ টা গ্রহ অবস্থান করছে যা ভূমিকম্প হবার কারণ।
৩, শনি আর কেতু একসাথে অবস্থান করলেও এমন ঘটনা ঘটে থাকে।
বি দ্র: এই কুন্ডলী এর সময় নিয়ে সুদু ৩টে কারণ আলোচনা করলে অনেক কম বলা হবে, ভালো করে আলোচনা করলে অনেক সময় এবং অনেক লিখতে হবে, তাহলে ভূমিকম্পের আসল সময় টাও বের করতে অসুবিধা হবে না।
আমি জাগতিক জ্যোতিষ নিয়ে অল্প বিস্তর পড়াশোনা করে দেখেছি, জাগতিক বিপর্যয় মেলানো খূব কঠিন হলেও অসম্ভব কিছুই নয়।
কিছু ভূমিকম্পের লিস্ট দিলাম, মিলিয়ে দেখে নেবেন, যে সকল ভূমিকম্প নিয়ে আমি রিসার্চ করা হয়েছে।
-২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প ও সে কারণে সৃষ্ট সুনামিতে প্রায় ১৯ হাজার মানুষ মারা যায়।
-২০১১ সালের ২৩ অক্টোবর তুরস্কের পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে ছয় শতাধিক মানুষ নিহত হয়। আহত হয় ৪ হাজার ১৫০ জন।
-২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি হাইতিতে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে আড়াই থেকে তিন লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
-২০১০ সালের ১৪ এপ্রিল চীনের কুইনঘাই প্রদেশে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে তিন হাজার মানুষ নিহত ও নিখোঁজ হয়।
-২০০৮ সালের ১২ মে চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ৮৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হয়।
-২০০৬ সালের ২৭ মে ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে ছয় হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
-২০০৫ সালের ৮ অক্টোবর পাকিস্তান-শাসিত আজাদ কাশ্মীরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।
-২০০৫ সালের ২৮ মার্চ ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৯০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
-২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর এক শক্তিশালী ভূমিকম্প ও তার কারণে সৃষ্ট সুনামিতে ইন্দোনেশিয়াসহ ভারত মহাসাগরের কাছাকাছি অঞ্চলে ২ লাখ ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
-২০০৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ইরানের বাম শহরে কমপক্ষে ৩১ হাজার ৮৮৪ মানুষ প্রাণ হারায়।
-২০০১ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতের গুজরাটে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ২৫ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।
-১৯৯৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে ভারতের মহারাষ্ট্রে ৭ হাজার ৬০১ জন মানুষ প্রাণ হারায়।
-১৯৯১ সালের ২০ অক্টোবর ভারতের উত্তর প্রদেশে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ৭৬৮ জন মারা যায়।
-১৯৮৮ সালের ২০ আগস্ট নেপালে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ৭২১ জনের প্রাণহানি ঘটে।
সম্রাট বোস
7890023700