আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কেনেডিও মেরিলিনের সাথে জড়িয়ে গিয়েছিলেন।
কেন আর কিভাবে হলো মেরেলিনের মৃত্যু?
রহস্যঘেরা পৃথিবীর বুকে রহস্য হয়েই আছে হলিউডের কিংবদন্তি চিত্রনায়িকা মেরিলিন মনরোর মৃত্যু। হাজার তরুণের স্বপ্নের রানি মনরো আত্মহত্যা করেছিলেন, নাকি কেউ তাঁর জীবনপ্রদীপ নিভিয়ে দিয়েছিল? আর যদি আত্মহত্যাই করেন, তবে তা কেন? মৃত্যুর ৫৭ বছর পরও এ রহস্যের কিনারা হয়নি। মনরোকে হলিউডের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ নায়িকা বললেও অনেকে আপত্তি করবেন না। ভুবনমোহিনী হাসির মায়াজালে তাঁর সময়কার তরুণদের হৃদয়ে ঝড় তুলেছিলেন তিনি। হয়েছিলেন অনেক তরুণের দীর্ঘশ্বাসের কারণ। তাঁদের সেই দীর্ঘশ্বাস আরও দীর্ঘ হয়েছিল সাফল্যের উত্তুঙ্গ সময়ে এ তারকার জীবনের আলো নিভে যাওয়ায়।
১৯৬২ সালের আগস্ট মাসের পঞ্চম দিন, মেরিলিন মনরোকে লস অ্যাঞ্জেলেসের ব্র্যান্টউডের বিলাসবহুল বাড়িতে একাকী মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবনে মৃত্যু হয় এই রূপকুমারীর। সেই পাগল করা দিনের ভক্তকুলের অনেকে জীবনের এই পড়ন্ত বেলায় এসেও দীর্ঘশ্বাস গোপন করেন মনরোর জন্য। এখনো প্রশ্ন উঠে, কেন আত্মহত্যা করবেন মনরো! তিনি তো খ্যাতির শীর্ষে ছিলেন তখন। আবার তাঁকে হত্যাই বা করবে কে? কীসের শত্রুতা তাঁর সঙ্গে? সবই রহস্যাবৃত।
পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে এটা ছিলো দুর্ঘটনা, আবার কেউ কেউ বলছে suicide বা খুন।
জ্যোতিষ পর্যবেক্ষণ
Suicide করতে গেলে জাতচক্রে চন্দ্রের দুর্বলতার দরুন এমন ঘটনা মানুষ ঘটিয়ে থাকে, তার সাথে বুধের দুর্বলতা।
দুর্ঘটনা বিচার করতে গেলে জাতচক্রে বৃহস্পতির দুর্বলতা বিচার্য। বৃহস্পতি যদি জাতচক্রে ৬/৮/১২ ভাবে অবস্থান করে পীড়িত হয় তাহলে জাতকের জীবনে সেই দশায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
৬ ভাবের সাথে বৃহস্পতি যুক্ত থাকলে শারীরিক ক্ষয় ক্ষতি ১২ ভাবের সাথে যুক্ত থাকলে আর্থিক ক্ষতি এবং ৮ ভাবের সাথে যুক্ত থাকলে দুর্ঘটনায় পড়তেই হবে। তবে এই ঘটনা গুলো বৃহস্পতির দশা এবং গোচরে বৃহস্পতির অবস্থান যদি ৬/৮/১২ ভাবে যুক্ত হয় তাহলে ঘটনা গুলোর মুখ মুখী হতে হয় জাতক বা জাতিকাকে।
মেরিলিন মনরোর
১, কর্কট লগ্ন
২, লগ্নপতি চন্দ্র ৭ভাবে অবস্থান।
৩, চন্দ্রের দুপাশে কেতু আর মঙ্গলের অবস্থান।
অনেকেই এই চন্দ্রকে পীড়িত বলে।
৪, বৃহস্পতির অবস্থান ৮ভাবে ধোনিষ্ঠা নক্ষত্রে মঙ্গলের সাথে সহাবস্থান।
৫, রাহুর অবস্থান ১২ভাবে।
৬, বৃহস্পতি এখানে শনির ঘরে দুর্বল এবং শনি আর রাহুর সাথে যুক্ত হয়েছে। ৮ভাবে এমনিতেই বৃহস্পতি প্রচন্ড দুর্বল থেকে রাহুর দ্বারা পীড়িত হয়েছে। মঙ্গলের সাথে সহাবস্থান।
০৫/০৮/১৯৬২
যেদিন মেরিলিন মারা যান সেদিন ছিলো ওনার জাতচক্রে বৃহস্পতির দশা, মঙ্গলের অন্তর্দশা, মঙ্গলের সুক্ষ দশা।
বৃহস্পতি আর মঙ্গলের জন্মকালীন অবস্থান ছিলো সেই ৮ ভাবে। যেখান থেকে মানুষের আয়ু, জীবনের পরিমান,মৃত্যু আমরা বিচার করে থাকি।
বৃহস্পতির ৮ম ভাবে অবস্থান আর বৃহস্পতির দশা মানুষের জীবনের দৈব দুর্ঘটনা নিশ্চিত ভাবে ডেকে আনে।
যদি এই দশার সময় বৃহস্পতির অবস্থান ৮ম ভাবে আসে সেই সময় ঘটনা প্রবল আকার ধারণ করে।
০৫/০৮/১৯৬২ সালে জাতচক্রে বৃহস্পতির অবস্থান সেই ৮ম ভাবে এসেছিলো। সব দিক থেকেই ৮ম ভাবকে জাগ্রত করেছিলো। বৃহস্পতি+মঙ্গল+মঙ্গলের দশায় মেরেলিনের মৃত্যু হয়েছিলো। ওই দুটি গ্রহের অবস্থান জন্ম কালীন ৮ম ভাবেই ছিলো।
শুক্র দেবতা ঔষধ আবিষ্কার করেছিলেন, শুক্রাচার্য তার ঔষধের মাধ্যমে দস্যুদের জীবিত করতেন। তাই ঔষধের কারক গ্রহ আমরা শুক্রকেই মেনে থাকি আর চন্দ্র মনের কারক গ্রহ।
মেরেলিনের মৃত্যুর সময় চন্দ্র আর শুক্র ৩য় ভাবে সহাবস্থান ছিলো। মেরেলিনের মৃত্যু হয়েছিলো অতিরিক্ত ঘুমের ঔষধের কারণে।
সম্রাট বোস
7890023700