নেইল বোর।
ছোট্ট ছেলেটির মন খারাপ।খুব বেশিই খারাপ।পরীক্ষায় একটি প্রশ্নের উত্তরে সে শূন্য পেয়েছে।প্রশ্নটি ছিলো এরকম- “ব্যারোমিটারের সাহায্যে একটি ভবনের উচ্চতা কীভাবে মাপা সম্ভব?” উত্তরটি তার জানা ছিলো না।তাই বলে তো আর প্রশ্ন ছেড়ে আসা যাবে না।মা বারবার বলে দিয়েছে ‘ফুল অ্যান্সার’ করে আসার জন্য।তাই বুদ্ধি খাটিয়ে সে লিখেছিলো-“দড়ি বেঁধে ভবনের ছাদ থেকে ব্যারোমিটারটি নিচে ফেলে দিতে হবে।তাহলে ঐ দড়ির দৈর্ঘ্যই হবে ভবনের উচ্চতা”।শিক্ষক ঊত্তর দেখে খুশি তো হনইনি বরং ভেবেছেন ছেলেটি দুষ্টমি করে উত্তরটি লিখেছে,তাই তাকে ডেকে খাতাটা বাড়িয়ে দিয়ে বললেন,“ধরে নিলাম উত্তরটা তুমি জানো,দ্বিতীয়বার তোমায় সুযোগ দিচ্ছি,চটপট উত্তরটা লিখে ফেল”।ছেলেটি ভাবলো,“এবার আর ভুল করা যাবে না”।তাই এবার সে লিখলো-“আমি ভবনের উপর থেকে নেমে এসে ভবনের অ্যাটেনডেন্টকে বলব,ভবনের প্রকৃত উচ্চতাটি বললে আমি তোমাকে এই ব্যারোমিটারটি উপহার দিবো,তখন সে বলে দিবে আর আমি জেনে নিবো”।এবার হয়েছে,এবার নম্বর না দিয়ে শিক্ষক যাবেন কোথায়?এই ভেবে মনে মনে এক চোট হেসে নিলো ছেলেটি।কিন্তু তার উত্তর দেখে এবার আর শিক্ষকও ভুল করলো না।দিয়ে দিলেন পুরো শূন্য(0)!
পদার্থবিজ্ঞানের প্রাশ্নে ভুল করলেও পরবর্তীতে সেই ছেলেটিই হয়ে ওঠে,“বোর পরমাণু মডেলের” জনক প্রখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী নীলস বোর ।
৮মে অবস্থিত চন্দ্রের দশায় জন্ম হয় এবং ৮মে বৃহস্পতি আর বুধের অবস্থানে শিশুকাল থেকেই দুটো বিষয়ে নীলস বোর সকলের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। একটি গণিত, অপরটি মারামারি! গণিতে অসামান্য দক্ষতার জন্যই হয়তোবা ধীরে ধীরে তিনি পদার্থবিজ্ঞানের প্রতি আসক্ত হয়ে ওঠেন।
৮মে অবস্থিত রাহুর দশায় ১৯০৬ সালের অক্টোবর মাসে বোর তার ph.D গবেষণাপত্র জমা দেন। এবং তিনিই সব অভিজ্ঞদের হারিয়ে স্বর্ণপদক জিতে নেন!
৮মে অবস্থিত বৃহস্পতির দশায় ১৯২২ সালে তাকে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
আমাদের জ্যোতিষ শাস্ত্রে অনেকেই ৮ভাবকে মৃত্যু ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে চায় না, তাই অনেকের কাছেই ৮ ভাব অনেকটা অবহেলিত। কিন্তু একটা জিনিস বুঝতে হবে, ৮ম ভাব মানুষের জীবনের গভীরতা, গবেষণা করতে হলে ৮ম ভাবকে প্রবল হতে হবে। আপনি কোন কিছুর গভীরে যেতে গেলে ৮ম ভাবকেই প্রয়োজন পড়বে, সব শেষের কথা হলো শ্রী কৃষ্ণ ভগবান ছিলেন সেই ৮ম গর্ভের সন্তান।
বোরের জন্ম থেকে মৃত্যু পুরোটাই কেটেছিলো ৮ম ভাব নিয়েই।
সম্রাট বোস।
7890023700