মৃত্যুর পরেও নার্গিস ফিরে এসেছিলেন সঞ্জয় দত্তের কাছে
সে রকমটাই অন্তত লেখা আছে বইতে। যার নাম ‘সঞ্জয় দত্ত: দ্য ক্রেজি আনটোল্ড স্টোরি অব বলিউডস ব্যাড বয়’। লিখেছেন ইয়াসির উসমান। নায়িকার মুখ থেকে শোনা কথার উপরে ভিত্তি করে লেখা রেখা নামে যাঁর জীবনীগ্রন্থ একদা আলোড়ন ফেলেছিল অনুরাগীমহলে।
১৯৮১ সালের ৩ মার্চ নার্গিসের যখন ক্যানসারে মৃত্যু হয়, সে সময়ে সঞ্জয় দত্ত ছিলেন ইউএস-এর এক রিহ্যাবে। ড্রাগের নেশায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ার জন্য তাঁকে সেখানে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে থাকাকালীন এক দিন সঞ্জয়ের কাছে সুনীল দত্তের পাঠানো কয়েকটি টেপ আসে। প্রথমটায় সঞ্জয় বুঝতে পারেননি ওগুলোয় কী আছে। রেকর্ডারে টেপ ভরে দিয়ে প্লে বাটনটি টিপে দেওয়ার পরেই তিনি স্তম্ভিত হয়ে যান। সারা ঘরে গমগম করে ওঠে নার্গিসের গলা!
সঞ্জু, তোমার মানবিকতা, তোমার চরিত্রকে কখনও ত্যাগ করো না। শো অফ করো না। বড়োদের সম্মান করতে ভুলো না। নম্র হলেই তুমি অনেক দূর যাবে এবং তোমার কাজের স্বীকৃতি পাবে, ভাঙা গলা আর হাঁফানি নিয়ে ঘরে বেজেছিল মৃত্যুশয্যায় থাকা নার্গিসের শেষ কথাগুলো। আর সঞ্জয়ের মনে হয়েছিল, মৃত্যুর পরেও নার্গিস ফিরে এসেছেন তাঁর কাছে”, লেখা রয়েছে বইতে।
এর পরেই আর চোখের জল সামলাতে পারেননি নায়ক! কেঁদেছিলেন একটানা চার দিন ধরে!
সঞ্জয় দত্তের জীবনের সম্পর্কে সকলেই জানেন কমবেশি কিন্তু আজকে আমার লেখার বিষয়বস্তু হলো কিভাবে
ফিরে এলেন সেই বিষাক্ত নেশার জগৎ থেকে?
মনোবিজ্ঞান বলছে নিজের প্রতি পরিপূর্ণ আত্মবিশ্বাস না থাকলে মানুষ কখনোই এইপথ থেকে বেরোতে পারবে না। চোরাবালির মতন একটু একটু করে নিচের দিকে নেবেই যাবে। মানসিক এবং শারীরিক শক্তির ভীষণ প্রয়োজন হয় নেশা মুক্তির রাস্তা থেকে ফিরে আসার জন্য। প্রতি মুহূর্তে নেশা আপনাকে দুর্বল করতে চেষ্টা করবে, মন বার বার চাইবে সেই পথে পা বাড়াতে, শরীর দুর্বল হয়ে যাবে একটু একটু করে, লড়াই না করতে পারলে সেই পথ থেকে ফিরে আসা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
জ্যোতিষ শাস্ত্রেও ঠিক একই কথা বলছে, যদি চন্দ্র আর লগ্ন সবল না থাকে তাহলে নেশা মুক্তি অসম্ভব হয়ে পড়ে, ২য় ভাব পীড়িত হলে মানুষের জীবনে নেশা করার প্রবণতা সৃষ্টি হয়।
সঞ্জয় দত্ত এর ২য় ভাবে শনি অবস্থান করে ২য় ভাবকে পীড়িত করায় সঞ্জয় দত্ত নেশা গ্রস্থ হয়েছিল। এখানে আরো একটা কথা মনে রাখতে হবে, পরিবেশ মানুষকে সেই পথে ঠেলে নিয়ে যায়, ভারতবর্ষে হাজার হাজার মানুষের ২য় ভাব পীড়িত তার জন্য সকলেই নেশা করতে যাচ্ছে না, কিন্তু তারসাথে ৩য় ভাব বা পতি পীড়িত হলে জাতক বাজে পরিবেশে মিশবে এবং নেশা করার প্রভাবিত হয়ে উঠবে। সঞ্জয় দত্ত এর ৩পতি তার ১২ ভাবে অবস্থিত। অল্প বয়সে টাকার অভাবে ছিলোনা, এবং পরিবেশ তাকে টেনে নিয়ে গিয়েছিলো একটা নেশার জীবনে।
এতো কিছুর পরেও সঞ্জয় দত্ত ফিরে আসতে পেরেছিলেন কারণ তার লগ্নপতি ১০মে মিত্র ঘরে সিংহ রাশিতে এবং চন্দ্র উচ্চস্ত অবস্থায় যাহা সঞ্জয় দত্তকে অন্ধকার জীবন থেকে ফিরে আসতে সাহায্য করেছিলো।