Wilma Rudolf

সাফল্যের শেষ নেই , শেষ আছে ব্যর্থতার।

সেলফ কনফিডেন্স নিয়ে কিছু আলোচনা করি আপনাদের সাথে। সাধারণ মানুষের আলোচনায় বলতে গেলে যাদের যত বেশি সেলফ কনফিডেন্স সেই মানুষ তত বেশী সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে যায়, আর জ্যোতিষের ভাষায় বলতে গেলে জন্ম কুন্ডলীতে কিছু connection দেখে নিতে হয়…..
যেমন:
১, লগ্ন পতি সবল।
২, লগ্ন সবল।
৩, চন্দ্র অপিরিত।
৪, মঙ্গল অপিরিত।
৫, লগ্ন ভাব, ৩য় ভাব আর ৬ ভাব সম্পর্ক হলে জাতকের মানসিক শক্তির বিকাশ ঘটে এবং তারসাথে শারীরিক ইচ্ছে শক্তি প্রকাশ পেয়ে থাকে।

আমি ছবিতে একটা কুন্ডলী দিয়েছি তাতে দেখে নিতে পারেন অপনারা যেখানে এই ৫টি সূত্র মিলেছে।

আমি আজকে আপনাদের কাছে এমন একজনের কুন্ডলী নিয়ে আলোচনা করছি তাকে বলা হয় পৃথিবীর সব থেকে দ্রুত দৌড়ানোর মেয়ে …..

Wilma Rudolph

এক গরীর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন উইলমা রুডলফ। মাত্র চার বছর বয়সে তিনি নিউমোনিয়া, কালাজ্বর এবং পরবর্তীতে পোলিও রোগে আক্রান্ত হন। তার পায়ে ব্রেশ (Brace) পড়ানো হয়েছিল। ডাক্তার বলেছিলেন তিনি কখনই চলতে পারবেন না। কিন্তু উইলমার মা তাকে সাহস দিতেন। মা বলতেন- শ্রষ্টা তোমাকে ক্ষমতা দিয়েছেন, পরিশ্রম কর সফল হতে পারবে। উইলমা চাইলেন তিনি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত গতির দৌঁড়বিদ হবেন। ৯ বছর বয়সে তিনি ডাক্তারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ব্রেশ খুলে ফেলেন। ১৩বছর (রাহুর দশায়) বয়সে তিনি প্রথম দৌঁড় প্রতিযোগীতায় অংশ নেন। প্রায় ৪-৫ বার দৌঁড় দিয়ে পিছনেই পড়ে থাকেন। হাল ছাড়েননি। তিনি যতক্ষণ পর্যন্ত প্রথম হতে পারেননি ততক্ষণ পর্যন্ত চেষ্টা করে যান। তিনি ১৫ বছর বয়সে স্টেট ইউনিভার্সিটি যান। সেখানে এড টেম্পল নামক এক কোচের সান্নিধ্য লাভ করেন। টেম্পল উইলমার ইচ্ছার কথা শুনে বলেছিলেন- ‘তোমার ইচ্ছাশক্তিকে কেউ আটকাতে পারবে না। আমি তোমায় সাহায্য করব’। ১৯৬০ সালের অলিম্পিক ইতিহাসের পাতায় পোলিও রোগে আক্রান্ত উইলমার নাম লেখা হয়ে যায়। কারণ তিনি সে বছর ১০০ মিটার, ২০০ মিটার ও ৪০০ মিটার দৌঁড়ে সোনার মেডেল জিতেছিলেন।

উইলমা এইসব ঘটনা ঘটিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রাহুর দশায়।

আমি আপনাদের বলবো রাহুর অবস্থান একবার দেখে নেবার কথা, যদি কোনো জাতকের জন্ম কুন্ডলীতে রাহু ১,৩,৫,৯,১১ স্থানে যোগ সূত্র করে থাকে তাহলে সেই জাতকের অসম্ভব মানসিক জোর এসে যায়। সেই জাতক যদি ইচ্ছে করে তাহলে অসম্ভব কেও সম্ভব করে ছাড়বে।

আমরা ইতিহাস ঘেটে দেখে নিতে পারি এমন আরও অনেক জন্ম কুন্ডলী যেখানে কিভাবে রাহুর প্রভাব ঠিক এমন ভাবে কাজে লেগেছে, আমরা শ্রী কৃষ্ণার কুন্ডলী খুলে দেখতে পারি, ওনার ৩য় ঘরে রাহুর অবস্থান, জীবন সংগ্রাম সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। লর্ড যীশুর কুন্ডলীতে ৩য় ঘরে রাহুর অবস্থান।

এমন হাজার হাজার উদাহরণ তুলে ধরা যেতে পারে, যাইহোক রাহুর প্রভাব মানুষের জীবনে অনন্তকাল ধরেই চলে আসছে, আর একই ভাবে থাকবে।

সম্রাট বোস
7890023700