জেনে নিন বিবাহিত জীবনে মঙ্গলের প্রভাব


জেনে নিন বিবাহিত জীবনে মঙ্গলের প্রভাব

ভৌমদোষ কাটাতে ছোটা বচ্চনের গলায় মালা দেওয়ার আগে গাছকে বিয়ে করেছিলেন ঐশ্বর্য রাই। ছেলে অভিষেকের বিবাহিত জীবন নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি বিগ বি। তাই তাঁর নির্দেশেই নাকি গাছের সঙ্গে বিয়ে প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরীর।

জ্যোতিষ মতে ভৌম দোষ বা মাঙ্গলিক দশা বিবাহিত জীবন পুরো শেষ করে ফেলতে পারে। বিয়ের পাত্র বা পাত্রীর মধ্যে যে কোনও একজনের ভৌম দোষ থাকলে বিয়ের আগে তা প্রতিকারের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে একজন মাঙ্গলিক হলে আরেকজনের জীবন হানির পর্যন্ত আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া সম্পর্কে অবনতি থেকে ডিভোর্স হওয়াও বিচিত্র নয়।

ভৌম দোষের ফলে আর যে যে সমস্যা হতে পারে, তা হল –

* আগুপিছু না ভেবে এমন কাজ করা, যার জন্য পরে অনুশোচনা হবে। * প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারা * নির্দিষ্ট কোনও কারণ ছাড়াই সমস্যা * যৌন অক্ষমতা * ভাইয়ের সঙ্গে গুরুতর মনোমালিন্য * দুর্ঘটনা * রক্তজনিত অসুখ * সম্পত্তিহানি

ভৌমদোষ মানে মঙ্গলের (গ্রহ) দোষ। সংস্কৃতে মঙ্গলের মানে ভৌমঃ, আর হিন্দিতে যা মাঙ্গলিক দোষ। মঙ্গল গ্রহ রাশিচক্রে লগ্ন, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম বা দ্বাদশ ভাবে অবস্থান করলে এই দোষ তৈরি হয় এবং এক এক ভাবানুসারে তা দাম্পত্য জীবনে ভিন্নরকমের কুপ্রভাব সৃষ্টি করে।

কেউ মাঙ্গলিক কিনা, তা কোষ্ঠী বিচার করে জানা যাবে। জন্ম কুণ্ডলীতে ১২টি করে ঘর থাকে। তার মধ্যে অন্তত ৫টি ঘরে মঙ্গলের অবস্থান একজনকে মাঙ্গলিক হিসেবে চিহ্নিত করে। তবে ভৌম দোষের কম-বেশি থাকে। যত কম ঘরে মঙ্গল অবস্থান করবে, তার প্রভাবও ততই কম হবে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে মোট জনসংখ্যার ৪২ শতাংশই মাঙ্গলিক।

বিবাহের পূর্বে সব মানুষের কুষ্টি বিচার করেই বিবাহের প্রয়োজন আছে। কোনো শিক্ষিত জ্যোতিষ এর পরামর্শ নিয়ে দুজনের কুষ্টি মিলিয়ে বিবাহের প্রয়োজন।

ভৌম দোষ কাটানোর বিভিন্ন উপায় আছে, সেটা জ্যোতিষ এর কাছে জেনে নেওয়ার প্রয়োজন।

সম্রাট বোস
7890023700