দীক্ষায় বিকাশ।
দীক্ষা অনেকেই নিয়ে থাকেন কিন্তু দীক্ষায় সকলের আধ্যাতিক উন্নতির পথ সুদৃঢ় হয় কিনা সেটা নিয়ে অনেক প্রশ্ন থেকেই যায়।
দীক্ষা সর্বকার্যে শুদ্ধিকারক। অদীক্ষিত কোন ব্যক্তি যদি আধ্যাত্মিকতার যেকোন কার্য করুক না কেন? তৎসমুদয়ের কোন মূল নেই। তাই প্রত্যেকে দীক্ষা গ্রহণ করা অবশ্যই উচিত। দীক্ষা ব্যতীত কোন ভক্তকে ভগবান নিজেও দর্শন দেন না তা শাস্ত্রে বিধিত আছে।
দীক্ষা কি?
দীয়ন্তে জ্ঞানমত্যন্তং ক্ষীয়তে পাপসঞ্চয়ঃ।
তস্মাদ্ দীক্ষেতি সা প্রোক্তা মুনির্ভিস্তত্ত্বদর্শিভিঃ।।
দিব্যজ্ঞানং যতো দদ্যাৎ কৃত্যা পাপস্য সংক্ষয়ম্।
তস্মাদীক্ষেতি সা প্রোক্তা মুনির্ভিস্তত্ত্ববেদিভিঃ।।
যে কার্য পাপক্ষয় করিয়া দিব্য জ্ঞান প্রকাশ করে, তাহাই দীক্ষা। প্রকৃতপক্ষে দীক্ষার অর্থ বর্ণ বা শব্দ বিশেষ, শ্রবণ করা নহে। বর্ণ বা বর্ণগুলি শব্দব্রহ্ম বা নাদব্রহ্ম বলিয়া পরিকীর্তিত আছে। সেই শব্দব্রহ্ম বা নাদব্রহ্মই বর্ণ। সেই বর্ণই ভগবানের নাম। নাম এবং নামী অভেদ, কিছুই প্রভেদ নাই। এইভাবে যেই নাম বা মন্ত্র গ্রহণ করা হয় তাহাই দীক্ষা। যিনি নামে এবং মন্ত্র এ মন্ত্রের অভীষ্ট দেবতাকে এক ভাবেন, তিনি প্রকৃত দীক্ষিত। দীক্ষামন্ত্র গ্রহণ করিলে শব্দব্রহ্ম বা নাদব্রহ্ম অভীষ্ট দেবতার না হয় এবং হৃদয়ে নিজ ইষ্ট দেবতার ভাব উদ্দীপন না হয়, তবে সেইরূপে মন্ত্র বা দীক্ষা গ্রহণ করিয়া দীক্ষা বা মন্ত্র গ্রহণ শব্দ প্রয়োগ না করাই শ্রেয়ঃ। দৃঢ় বিশ্বাস বা ভক্তিই মূল।
জ্যোতিষ বিচারে এই ৫ ভাব থেকেই দীক্ষার ভাব বিচার করা হয়ে থাকে।
যে কোনো ভাবের ১০ ম ভাব হলো তার বিকাশ হবার স্থান। তার মানে ৫ ম ভাবের ১০ম ভা থেকে দীক্ষায় বিকাশের বিচার করে থাকে।
৯ ভাব থেকে স্পিরিটুয়াল দিকটা খুঁজে পাই, ধর্ম, ভাগ্য।
১২ ভাব থেকে মোক্ষলাভ।
জাতচক্রে যদি
১,২, ৫,৯,১২ ভাবের সংমিশ্রণ ঘটে তাহলে জাতক বা জাতিকার জীবনে দীক্ষায় উন্নতি লাভের বা মোক্ষ লাভের রাস্তা মসৃন হয়ে উঠবে। যারা দীক্ষা নেন সকলের বিকাশ ঘটে না, ১০০ শিষ্যের মধ্যে একজনের হয়তো সেই সৌভাগ্য ঘটে।
পর্যবেক্ষণ——–
প্রকৃত উন্নতি ঘটেছে দীক্ষায় এমন ঘটনা আমার দেখা সেই ছেলেটার জীবনে।
মনোজ মন্ডল
২৩/১০/১৯৮১
১৯:১০
ব্যাংকরা
২/৫ পতি বক্র অবস্থায় ৫ভাবে উচ্চস্ত অবস্থায় ৯/১০ পতি শনি এবং ৮/১১ পতি বৃহস্পতির সহিত সহাবস্থান।
জাতক পরিজাতে বলা আছে যে কোনো গ্রহ বক্র অবস্থায় তার পিছনের ভাবের ফল প্রদান টাও করে থাকে।
তার মানে বক্র বুধ এখানে ৪ ভাবেও অবস্থান করছে এবং ৪ ভাবে অবস্থিত ৩ পতি চন্দ্র আর ৭/১২ পতি মঙ্গলের সাথেও সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে।
লগ্নপতি শুক্র অবস্থান করছে ৭ ভাবে একা, এখানে শনির ৩ য় দৃষ্টি দ্বারা যুক্ত হয়েছে।
মানজের জাত চক্রে ১,২,৫,৯,১২ ভাবের মিলন হয়েছে সুন্দর ভাবে । তাইতো মানজের জীবনে মানসিক বা জীবন চর্চায় একটি বৈশিষ্ট্য পূর্ণ দিক জেগে উঠেছে। মনোজ ঈশ্বরের প্রতি, গুরুর প্রতি একাগ্র চিত্রে নিজেকে ভাসিয়ে দিয়েছে। মনোজ সমস্ত কর্তব্য কর্মে নিষ্ঠাবান। সর্বদাই সৎ ভাবনায় পরিচালিত হয়ে থাকে। গুরুর প্রতি তার অগাধ বিশ্বাস, ভালোবাসা, গুরুর চরণে নিজেকে নিয়োজিত করাই তার জীবনের প্রধান লক্ষ্য।
মনোজ সংসারে আছে পাকাল মাছের মতন, সংসার করছে কিন্তু মন তার গুরুর পাদপদ্মে সর্বদাই।
সম্রাট বোস
7890023700